ঢাকা , শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত ১২ বছরের শিশুকে উদ্ধার ও ০১ জন অপহরণ কারীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০৯-০৫ ১৬:২২:১১
মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত ১২ বছরের শিশুকে উদ্ধার ও ০১ জন অপহরণ কারীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত ১২ বছরের শিশুকে উদ্ধার ও ০১ জন অপহরণ কারীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

​নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিএমপির কদমতলীতে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত ১২ বছরের শিশুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার ও ০১ জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১০।

“বাংলাদেশ আমার অহংকার”- এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দেশব্যাপী অপরাধ দমনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হত্যা, ছিনতাই, অপহরণ, প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে র‍্যাব জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। একইসাথে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার এবং চাঞ্চল্যকর মামলার দ্রুত উদঘাটন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় র‍্যাব প্রশংসনীয় অবদান রেখে চলেছে।

গত ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৬:৩০ ঘটিকায়, ডিএমপির কদমতলী থানাধীন সাদ্দাম মার্কেট এলাকা থেকে মাহাদী হাসান হুজাইফা নামক ১২ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্র নিখোঁজ হয়। ঘটনার পরপরই ভিকটিমের পরিবার আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং পরবর্তীতে কদমতলী থানায় বিষয়টি অবহিত করে। পরদিন, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে একটি অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে ভিকটিমের বাবার মোবাইল নম্বরে কল আসে এবং মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরিবার থেকে প্রাথমিকভাবে ৪০,০০০/- টাকা পাঠানো হলেও, ভিকটিমের জীবননাশের আশঙ্কায় পরিবার বিষয়টি র‍্যাব-১০-এর অধিনায়ক মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর করে।

অধিনায়ক মহোদয়ের নির্দেশে, র‍্যাব-১০ এর সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। র‍্যাব হেডকোয়ার্টার্স গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় পরবর্তী ১৭ ঘণ্টাব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবশেষে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আটি ওয়াপদা কলোনী বউ বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি ভাড়া বাসা হতে অপহৃত শিশু মাহাদী হাসান হুজাইফা’কে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে অপহরণকারী মোঃ মোখলেসুর রহমান রাজু (২৯), পিতা- মৃত আবুল কাশেম, গ্রাম- মুছেগুল, থানা- বড়লেখা, জেলা- মৌলভীবাজার’কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে একটি সিআর মামলা রয়েছে। উদ্ধারকৃত ভিকটিম ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত মোখলেসুর রহমান রাজু অপহরণের পর শিশুটিকে একাধিকবার স্থান পরিবর্তন করে যাতে তাকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়। অপহরণের সময় সে শিশুটিকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখায়—মোবাইল গেম খেলার সুযোগ, চকলেট, খাবার, ও বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে। এতে শিশুটি প্রথমে ভয় না পেয়ে স্বাভাবিক থাকে।

তবে পরে সে বুঝতে পারে তাকে আটকে রাখা হয়েছে, এবং ভয় পেতে শুরু করে। অপহরণকারী শিশুটিকে মানসিক চাপে রাখে এবং পরিবারের কাছ থেকে আরও টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে।


র‍্যাব-১০ এর এই সফল অভিযান প্রমাণ করে যে, সংস্থাটি অপহরণের মতো স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর ঘটনার দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিত করতে সর্বদা সচেষ্ট। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে র‍্যাবের এই আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্ব ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ